ডেস্ক রিপোর্টার :

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় বহাল থাকায় পরিবারের পক্ষ থেকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বলেন, এই রায় একটি ঐতিহাসিক বিচার, আমরা এতে সন্তুষ্ট। তবে আমরা চাই রায়ের দ্রুত কার্যকরী নিশ্চিত করা হোক।

সোমবার (২ জুন) হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর তিনি সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা জানান। একই সঙ্গে তিনি বলেন, সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শিগগিরই রায় কার্যকর হওয়া উচিত।

এই মামলায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেছিলেন। হাইকোর্ট আজ সেই আপিল খারিজ করে, মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ যাবতীয় সাজা বহাল রেখেছেন।

রায়ে সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া টেকনাফ থানার সাবেক এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, সাগর দেব, মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

২০১৯ সালের ৩১ জুলাই কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা। পাঁচ দিন পর নিহত সিনহার বোন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

র‌্যাবের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, এই হত্যা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত এ রায় দেন। এরপর আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন, যা আজ অবধি বহাল রাখা হলো।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শামীমা দিপ্তী, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসিম সরকার ও অন্যান্য। মেজর সিনহার পরিবারের সদস্য ও সাবেক সেনা কর্মকর্তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মেজর সিনহার পরিবার ও দেশের আইনপ্রণালী দ্রুত রায় কার্যকর করার জন্য সাড়া দেয়া আশা করছে, যাতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বিচারপ্রণালীতে সুনিশ্চিততা বজায় থাকে।