ডেস্ক রিপোর্টার :

দীর্ঘদিন ধরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ থাকার পর এবার আসন্ন এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে একই গ্রুপে পড়েছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অন্যতম উত্তেজনাপূর্ণ এই ম্যাচ নিয়ে উঠেছে নানা বিতর্ক।

ভারতের সাবেক তারকারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ বয়কটের ডাক দিলেও, এবারের এশিয়া কাপের সূচিতে ভারত-পাকিস্তান লড়াই অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আগামী ৯ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ। ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের মুখোমুখি হতে চলেছে পাকিস্তান। এছাড়াও দুই দল গ্রুপ ‘এ’-তে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানের সঙ্গে রয়েছে।

যদি দুই দল ফাইনালে পৌঁছায়, তাহলে টুর্নামেন্টে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখা যাবে সর্বোচ্চ তিনবার।

বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, “এই টুর্নামেন্ট থেকে ভারত নাম তুলে নিতে পারে না। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সম্মতিক্রমে ভারত আয়োজক দেশ হিসেবে অংশ নিচ্ছে। এ পর্যায়ে সূচিতে কোনো পরিবর্তন সম্ভব নয়। ম্যাচ যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।”

শুরুতে শোনা গিয়েছিল, ২৪ জুলাই ঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বৈঠকে বিসিসিআই অংশ নিতে চাইছে না। তবে পরবর্তীতে অনলাইন মিটিংয়ে তারা উপস্থিত হন। বৈঠক শেষে এসিসি প্রধান নাকভি বলেন, “২৫টি দেশের প্রতিনিধিরাও বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছে যা অত্যন্ত সন্তোষজনক। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে বিসিসিআইয়ের সম্মতি স্পষ্ট।”

সন্ত্রাসী হামলা ও রাজনৈতিক টানাপোড়েনে বেশ কয়েক দফা ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেটে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছিল। এমন অবস্থায় এশিয়া কাপের মতো মহাদেশীয় মঞ্চে মুখোমুখি হওয়া বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, ক্রিকেট কেবল খেলা নয়, দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়ে। খেলাধুলার মাধ্যেমে বার্তাপ্রেরণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এই দ্বৈরথ।

বয়কটের ডাক থাকলেও আন্তর্জাতিক নিয়ম, আয়োজক দেশের দায়বদ্ধতা ও ক্রিকেটীয় মর্যাদার কারণে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হওয়ার পথে বাধা প্রায়শই ফেলে দেয়া যায় না। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের এই ম্যাচ নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের কৌতূহল ও অপেক্ষা এখন সবচেয়ে বেশি।