ছবি সংগৃহীত
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের এম্বুলেন্স সেবা ৬২ দিন ধরে বন্ধ থাকায় রোগীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। সরকারি তিনটি এম্বুলেন্স বর্তমানে গ্যারেজে পড়ে রয়েছে, ফলে জরুরি রোগী পরিবহন এবং জীবন রক্ষার ক্ষেত্রে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশে সদর হাসপাতালের এম্বুলেন্স চালক মো. জামাল হোসেন ও সিভিল সার্জনের চালক মো. আবুবকর সিদ্দিকে ভোলায় বদলি করা হয়। তাদের বদলি পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো বিকল্প চালক নিযুক্ত না করায় এম্বুলেন্স সেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
পরবর্তীতে একটি নতুন চালক নিয়োগ দেওয়া হলেও, তিনি দীর্ঘ সময় ধরে অফিসে অনুপস্থিত থাকায় সেবার পুনরায় কার্যক্রম শুরু হয়নি। এর ফলে সরকারি এম্বুলেন্স না থাকার কারণে রোগীদের ব্যক্তিগত খরচ বেড়ে গেছে এবং জীবন সংকটের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, সদর হাসপাতাল থেকে বরিশাল শের-এ-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাতায়াতের জন্য সরকারি এম্বুলেন্স চারশো টাকা খরচ হতো, কিন্তু প্রাইভেট এম্বুলেন্সে খরচ দাঁড়াচ্ছে ১ হাজার থেকে ১,২০০ টাকা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গরিব ও সুবিধাবঞ্চিত রোগীরা এম্বুলেন্স সেবা না পেয়ে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেককে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে প্রাইভেট এম্বুলেন্সে যাতায়াত করতে হচ্ছে, যা তাদের জন্য কষ্টসাধ্য।
হাসপাতালের আবশ্যিক মেডিকেল কর্মকর্তা ও এমও ডাক্তার মেহেদি হাসান সানি জানান, এম্বুলেন্স চালক দীর্ঘদিন ধরে অফিসে অনুপস্থিত আছেন এবং তাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক গাফিলতের কারণে এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রুগী ও স্থানীয়রা দ্রুত এম্বুলেন্স সেবা চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীদের সঠিক ও জরুরি সেবা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News