ছবি সংগৃহীত
বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) ক্যান্সার ইউনিটে রোগীরা ঠাসা ওয়ার্ডে ভর্তি হতে না পেরে বারান্দার মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের সুভাষ চন্দ্র বোসও কেমো থেরাপি নিচ্ছেন এভাবেই। ছেলে সুকান্ত বলেন, “বাবাকে ঢাকায় নিতে হবে, কিন্তু টাকাই নেই। নতুন হাসপাতাল চালু হলে এমন কষ্ট হতো না।”
২০২০ সালের নভেম্বর থেকে নির্মাণ শুরু হওয়া ১৭ তলা ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগ হাসপাতালটি এখনও চালু হয়নি। প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল ২০২৩ সালের জুনে হাসপাতাল খোলা হবে, তবে অর্থ বরাদ্দের জটিলতা, যন্ত্রপাতি আমদানি বিলম্ব ও নির্মাণে দেরির কারণে কাজ এখনও ৮০ শতাংশে। দুই দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে—প্রথমে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর, পরে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত।
প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ছিল ২৩৮ কোটি টাকা, যা এখন ২৩৯ কোটি টাকায় উন্নীত। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স খান বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপক রিপন তালুকদার জানান, “বরাদ্দ না পেলে কাজ এগোয় না। সীমিত শ্রমিক দিয়ে কাজ চালাচ্ছি।” বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী কামাল হোসেনও অর্থ বরাদ্দ ও যন্ত্রপাতি আমদানিতে দেরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বর্তমানে শেবাচিমে অনকোলজি বিভাগে মাত্র ২৭ শয্যার ক্যান্সার ইউনিট আছে। পুরনো কোভাল্ট-৬০ মেশিন ২০১৫ সালে অচল হয়ে গেছে। অন্যান্য জরুরি যন্ত্র যেমন ব্রাকিথেরাপি, রেডিওলজি ও রেডিও টেলিথেরাপি মেশিনও কার্যকর নয়।
ডা. এস এম মনিরুজ্জামান, উপ-পরিচালক শেবাচিম, বলেন, “শুধু ভবন তৈরি হলেই হবে না। যন্ত্রপাতি, লিফট, সাবস্টেশন ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন ছাড়া হাসপাতাল চালু করা সম্ভব নয়। এটি সম্পূর্ণ করার জন্য আরও সময় প্রয়োজন।”
এ পরিস্থিতিতে দক্ষিণাঞ্চলের ক্যান্সার রোগীরা চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকায় যেতে বাধ্য হচ্ছেন, যা ভোগান্তি ও ব্যয় দুটোই বাড়াচ্ছে। স্থানীয়রা আশা করছেন দ্রুত নতুন হাসপাতাল চালু হবে এবং রোগীদের দীর্ঘদিনের কষ্ট কমবে।
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News