ছবি সংগৃহীত
চব্বিশের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে দৃশ্যের আড়ালে, শক্তিশালী একটি রাজনৈতিক বলয়ের অংশ হিসেবে কাজ করে গেছে দেশের বিভিন্ন ইসলামী দল।
নিজেদের দাবি মতে, এই দলগুলো আন্দোলনের সার্বজনীনতা রক্ষায় ইচ্ছাকৃতভাবে সামনে থেকে নেতৃত্ব না দিয়ে পেছন থেকে কাজ করেছে। তাদের ভাষায়, দলীয় ব্যানার ও রাজনৈতিক ট্যাগ সামনে আনলে আন্দোলনের স্বতঃস্ফূর্ততা ও গ্রহণযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হতো।
তবে জুলাই পরবর্তী সময়ে আন্দোলনের স্বীকৃতি বণ্টন ও অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান নিয়ে রয়েছে অসন্তোষ। ইসলামী দলগুলোর মতে, দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের সবাইকে সমান মর্যাদা ও স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।
জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্রসংগঠন ছাত্রশিবির দাবি করছে, তাদের ভূমিকাই ছিল আন্দোলনের সবচেয়ে "ইফেক্টিভ এবং থ্রেটিং ফোর্স"। জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন,
“আমরা তখন আমাদের নাম সামনে আনিনি। কারণ ওই আন্দোলনকে দলীয় রূপ দিলে সার্বজনীনতা হারিয়ে ফেলত। তবে সরকার বুঝেছে—পতনের আন্দোলনে সবচেয়ে বড় হুমকি ছিল জামায়াত-শিবির। জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার প্রচেষ্টাই তার প্রমাণ।”
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দিন আহমেদ বলেন,
“এই সরকারবিরোধী আন্দোলনের সূচনা শাপলা চত্বর থেকেই। যাত্রাবাড়ীতে আমাদের ছাত্ররা কয়েকদিন দখল রেখেছিল। শতাধিক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। ১৫-১৬ বছরের ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলশ্রুতিতেই গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে।”
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান জানান,
“ছাত্রদের পাশাপাশি দলীয় ব্যানার নিয়েই রাজপথে ছিলাম। মাস্টারমাইন্ড দাবি করি না, কিন্তু লাখো নেতাকর্মী ছিল মাঠে। চরমোনাই পীর ১৮ জুলাই ঢাকায় নামার নির্দেশ দেন। পরদিন সমাবেশে পুলিশের গুলিতে আহত হন ৪০-৫০ জন নেতাকর্মী।”
এই দলটির দাবিতে, ৫ আগস্ট তাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল সরকারবিরোধী। কিন্তু ছাত্রদের মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি ঘোষণার পর তারা সেটি স্থগিত করে ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে এসব ত্যাগ ও অংশগ্রহণের পরেও জুলাই পরবর্তী স্বীকৃতির রাজনীতি নিয়ে ক্ষুব্ধ অধিকাংশ ইসলামী দল। তারা মনে করেন, “বিচার হওয়া উচিত ভূমিকার ভিত্তিতে, রাজনৈতিক পরিচয়ের নয়।”
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের বৃহত্তর পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামী দলগুলোর এই ভূমিকা হয়তো অদৃশ্য ছিল প্রকাশ্যে, কিন্তু ইতিহাসের পাতায় তা রয়ে গেলো একটি প্রভাবশালী ‘ছায়া নেতৃত্ব’ হিসেবে।
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News