ডেস্ক রিপোর্ট :

প্রত্যন্ত একটি গ্রামে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে কনের জীবন শেষ হয়ে গেছে তার বিয়ের দিন। মৃত মেয়েটির সঙ্গে চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল, এবং সে স্পষ্টভাবে জানিয়েছিল, “আমি বিয়ে করলে এই ছেলেকেই করবো, অন্য কাউকে নয়।”

তবে ছেলেটি বেকার হওয়ায় পরিবার রাজি হয়নি। এমন সময় বিদেশফেরত একজন পাত্রের প্রস্তাব আসে—ধনসম্পদ ভালো, সমাজে অবস্থান শক্তিশালী, শুধু বয়স কিছুটা বেশি। পরিবার দেরি না করে মেয়েটির বিয়ে ঠিক করে দেয়। মেয়েটি বারবার অনুরোধ করলেও কেউ শোনেনি। সে হুঁ-শি-য়ারি দিয়েছিল, “আমাকে জোর করে বিয়ে দিলে আমি নিজের জীবন শেষ করে দেবো।”

বিয়ের দিন, অনুষ্ঠানে সবাই আনন্দে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে বিদায় দেওয়ার সময় মেয়েটি সকলের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। মুহূর্তের মধ্যে আনন্দময় বিয়ের আসর কান্না ও শোকে ভরে যায়। পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী সকলেই হতবাক।

স্থানীয়রা বলছেন, জোর করে বিয়ে দেওয়া মেয়েদের জীবনে কত বড় বিপর্যয় ডেকে আনে, তা এই ঘটনা প্রমাণ করছে। মেয়েদের ইচ্ছা ও মানসিক স্বাস্থ্যের মূল্য টাকা বা সামাজিক সম্মানের চেয়ে অনেক বড়। প্রেমিক ছেলেটির বেকারত্ব সমাধান না করে মেয়ের জীবন অন্য পথে ঠেলে দেওয়া কখনোই সুখকর হয় না।

সামাজিক সচেতনরা প্রশ্ন তুলছেন, মেয়েদের জীবনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কি শুধুই পরিবার ও সমাজের হাতে থাকবে? এই ধরনের চাপিয়ে দেওয়া বিয়ের সংস্কৃতি কতজনের জীবন কেড়ে নেবে, তা ভাবনার বিষয়।