ডেস্ক রিপোর্ট :

লন্ডনে বৈঠকের পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে আছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে ফিরেই তিনি তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রত্যাবর্তনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক জানান, মহাসচিব দেশে ফেরার পরই চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ পাবে। তিনি বলেন—

“আমাদের মহাসচিব যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরলে তার কাছে অনেক বার্তা থাকবে। তিনি সংবাদ সম্মেলন করবেন। তার মুখ থেকেই সবাই জানতে পারবেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কবে দেশে ফিরবেন।”

এরইমধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির মধ্যে নতুন প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নির্বাচনী প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে। নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা, আসন্ন নির্বাচনে সরাসরি মাঠে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান।

দলের সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন বলেন,

“দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ফল হিসেবে মানুষ এখন নির্বাচনের অপেক্ষায়। জনগণ তাদের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই আগামী দিনের রাষ্ট্র পরিচালনা দেখতে চায়।”

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম তুহিন বলেন,

“সবাই চায় যেন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হয়। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ শান্তির পথে এগিয়ে যাক।”

২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমান গত সতেরো বছর ধরে ভার্চুয়াল মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি দলের নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্তে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তবে এবার নির্বাচনের আগে দেশে ফেরার বিষয়ে জোরালো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

দলীয় সূত্র বলছে, আসন্ন নির্বাচনে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন বিএনপির জন্য হবে বড় অনুপ্রেরণা। দীর্ঘ সময় পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।