ছবি সংগৃহীত
ইসলামে বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র বন্ধন। তবে বিয়ের সময় যদি বর বা কনের নাম ভুল উচ্চারণ করা হয়, তাহলে কি সেই বিয়ে বৈধ হবে? সম্প্রতি এই প্রশ্নটি অনেকের মনেই জেগেছে।
ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী, বিয়ে বৈধ হওয়ার জন্য অবশ্যই সাক্ষী থাকতে হবে। কমপক্ষে দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন নারীর উপস্থিতিতে বিয়ের আকদ (চুক্তি) সম্পন্ন হতে হবে। এক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন,
"لا نكاح إلا بوليّ وشاهدين"
অর্থাৎ, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিয়ে নেই।” (আহমাদ, বুলুগুল মারাম)
তবে প্রশ্ন উঠেছে—বিয়ের সময় পাত্রী বা বরকে উদ্দেশ করে ভুল করে অন্য কারও নাম উচ্চারণ করলে কী হবে?
ইসলামি ফেকাহ বিশেষজ্ঞদের মতে, বর বা কনে যদি উপস্থিত থাকেন এবং পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় কার বিয়ে পড়ানো হচ্ছে, তাহলে ভুল করে অন্য নাম উচ্চারণ হলেও বিয়ে বাতিল হয় না। কারণ, ইসলামে 'উপস্থিতি' ও 'উদ্দেশ্য' এখানে মুখ্য বিষয়। এ ধরনের ভুলকে অনিচ্ছাকৃত ভুল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এই প্রসঙ্গে একটি উদাহরণ টেনে বলা যায়—একজন ইমাম যদি নিকাহ পাঠ করতে গিয়ে ভুল করে পাত্রীকে "রিমা" বলার বদলে "সিমা" বলেন, কিন্তু সবাই জানে যে রিমাই উপস্থিত, তাহলে সেই বিয়েটি শুদ্ধ বলেই গণ্য হবে।
ইসলামে বিয়েকে উৎসাহিত করা হয়েছে। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন,
"যে যুবক বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে। কারণ এটি দৃষ্টি ও লজ্জাস্থানের হেফাজত করে।" (বুখারি, মুসলিম)
একইসাথে, একজন দ্বীনদার জীবনসঙ্গী বাছাই করার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন রাসূল (সা.)। তিনি বলেন,
"নারীদের চারটি গুণ দেখে বিয়ে করা হয়—সম্পদ, বংশ, সৌন্দর্য ও দ্বীনদারী। তবে দ্বীনদারীকেই অগ্রাধিকার দাও।" (সহিহ বুখারি)
সুতরাং, বিয়ের সময় ভুল করে অন্য নাম উচ্চারণ হলেও মূল বিবাহ মজলিসে বর-কনে উপস্থিত থাকলে এবং সাক্ষীরা বোঝেন কার বিয়ে পড়ানো হচ্ছে, তাহলে সেই বিয়ে ইসলামী শরিয়তে বৈধ বলে গণ্য হয়।
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News