ছবি সংগৃহীত
কেউ মারা গেলে মুসলিম সমাজে তাৎক্ষণিকভাবে গোসল, কাফন, জানাজা ও দাফনের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এ কাজগুলো শরিয়তের দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ফরজে কিফায়া হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু প্রশ্ন হলো—মৃত ব্যক্তিকে গোসল করিয়ে তার বিনিময়ে টাকা নেওয়া কি ইসলামসম্মত?
হাদিসে এসেছে দ্রুত দাফনের নির্দেশ
রাসূলুল্লাহ (সা.) হাদিসে স্পষ্টভাবে বলেন, ‘‘তিনটি জিনিসে দেরি করো না… তার মধ্যে একটি হলো জানাজা উপস্থিত হলে দ্রুত দাফন কার্য সম্পন্ন করো।’’ (তিরমিজি, হাদিস: ১/২০৬)
এ থেকেই বোঝা যায়, মুসলিম মৃত্যুর পর তার গোসল, কাফন, জানাজা এবং দাফন দ্রুততার সঙ্গে আদায় করা উচিত এবং তা গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দায়িত্ব।
ফরজে কিফায়া হিসেবে দায়িত্ব পালন
মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়া একটি ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ সমাজে যদি কেউ এটি আদায় করে, তবে অন্যদের দায়িত্ব মাফ হয়ে যায়। আর কেউ আদায় না করলে সমগ্র সমাজ গুনাহগার হয়।
শরিয়তের দৃষ্টিতে, এসব কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করা উচিত। সওয়াবের নিয়তে করলে এটি ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।
টাকা নেওয়া কি জায়েয?
ইসলামি ফিকহবিদরা বলেন, মৃতের গোসল করিয়ে বিনিময় নেওয়া নাজায়েয নয়—যদি সমাজে যথেষ্ট গোসলদাতা থেকে থাকেন এবং এটি পেশাদারিভাবে কেউ করে থাকে। তবে এই ইবাদতমূলক কাজটি অর্থের বিনিময়ে না করে নিরস্বার্থভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করাই উত্তম ও অধিক সওয়াবের কাজ।
কিন্তু যদি কোনো এলাকায় কেবল একজন ব্যক্তি মাত্রই জানেন কীভাবে মৃত গোসল দিতে হয় এবং তার বিকল্প কেউ না থাকে, তবে তার জন্য বিনিময় নেওয়া শরিয়তসম্মত নয়। কারণ, এটি তখন ফরজে কিফায়া হিসেবে তার ওপর অপরিহার্য হয়ে যায়।
ইসলাম চায়, সেবার কাজ হোক সওয়াবের নিয়তে
আল্লামা শায়েখ উলামারা বলেন, মৃতের গোসল করানো একটি সওয়াবের কাজ, আর এর বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ না করলে আখেরাতে বিরাট প্রতিদান রয়েছে। বর্তমান সময়ে কিছু এলাকায় মৃতের গোসল দেওয়া, দাফন-কাফনের সেবাকে পেশা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটিকে নিরুৎসাহিত করে ইসলামী মূল্যবোধ জাগ্রত করাই উচিত।
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News