বাগেরহাট টানা ভারী বর্ষণে পানিবন্দি হাজারো পরিবার, তলিয়ে গেছে চিংড়ি ঘের ও পুকুর ।
বাগেরহাটে টানা ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের চাপে তলিয়ে গেছে নগরীর নিম্নাঞ্চল। পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, চিংড়ি ঘের, সড়ক ও বাজারঘাট। সাধারণ মানুষের চলাচল ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো পরিবার । সপ্তাহধরে টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের চাপে কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমর সমান পানি ।
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার চাকশ্রী গ্রামের চিংড়ি চাষি আবু হুরায়রা বলেন, "আমার ৭ বিঘা ঘেরে চিংড়ির পোনা ছিল। হঠাৎ পানি বেড়ে গিয়ে সব ভেসে গেছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা কঠিন হবে।
একই এলাকার চিংড়ি চাষি হারুন শেখ জানান, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পানি বাড়তে বাড়তে সব ঘেরের পাড় ভেঙে গেছে। প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন আবার পোনা কিনে ঘেরে দেওয়ার সামর্থ্য নেই।
পৌরশহরের খারদ্দার এলাকার পানি বন্দি গৃহবধূ রুনা বেগম বলেন, "ঘরের ভেতর পানি উঠে গেছে। চুলায় আগুন জ্বালাতে পারছি না। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি।
আরেক বৃদ্ধ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, এ বয়সে হাঁটু পানি পার হয়ে বাজারে যাওয়া যায় না। পায়ে ব্যথা আছে, তাই ঘরেই আটকে পড়েছি। কেউ সহায়তা করলে তবেই বাজার করতে পারি।
রিকশাচালক সুমন হাওলাদার জানালেন, রাস্তায় এত পানি যে রিকশা চালানো যায় না। দুই দিন কাজ করতে পারি নাই। বাচ্চাদের মুখে ভাত দিতে পারতেছি না।শিক্ষার্থী সাথী আক্তার বলেন, স্কুলে যেতে পারছি না, জুতা-পোশাক নষ্ট হয়ে যায়। বই-খাতাও ভিজে গেছে। ঘরেও পড়ালেখা করা যাচ্ছে না।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোতাহার হোসেন বলেন, "টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চলে আমনের বীজতলা ও শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. আবুল কালাম আজাদ জানান, বাগেরহাট সদরসহ উপকূলীয় তিন উপজেলায় ৯১৫টি চিংড়ি ঘের, ১৭৭টি পুকুর ক্ষতির মুখে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে। বৃষ্টি থামার পর সঠিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পাওয়া যাবে।
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News