ডেস্ক রিপোর্টার :

ঢাকা—টেলিগ্রামে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হুন্ডি করার অভিযোগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান চালিয়ে নয়ন আলী (৩৪)কে গ্রেপ্তার করা হয়। তার সঙ্গে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়েছে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, চক্রটি প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপের অজ্ঞাত নম্বর থেকে ভুক্তভোগীদেরকে অল্প সময়ে বেশি আয়ের প্রলোভন দেখাত। প্রস্তাবে রাজি হলে পাঠানো হতো টেলিগ্রামের একটি লিংক। সেখানে কিছু সাধারণ কাজ শেষ করলেই বিকাশ, নগদ বা রকেটের মাধ্যমে অর্থ প্রদানের প্রলোভন দেওয়া হতো। এরপর বিনিয়োগের প্রস্তাব আসে। ভুক্তভোগীরা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিলে তা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হতো।

গ্রেপ্তার নয়ন আলী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, তার চাচা জুহুরুল ইসলাম (৪০) তাকে চক্রের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। মূলহোতা মেহেদী হাসানের (৩০) নির্দেশে নয়ন আলী ও তার বোন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে লেনদেন করতেন। প্রতি ১ লাখ টাকার জন্য ১ হাজার টাকা কমিশন পেতেন এবং গত তিন মাসে প্রায় ৪ লাখ টাকা আয় করেছেন।

সিআইডির তথ্য অনুযায়ী, নয়ন আলীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গত তিন মাসে প্রায় ৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। নয়ন আলীর বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় প্রতারণার মামলা রয়েছে। এছাড়া ধানমন্ডি ও চট্টগ্রামেও একই ধরনের মামলা দায়ের আছে।

চক্রটির মূলহোতা মেহেদী হাসান, জুহুরুল ইসলাম ও অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। সিআইডি সাধারণ মানুষকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো বিনিয়োগের প্রস্তাব সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।