উন্নত জাত, অনুকূল আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিতে এ বছর কুমিল্লার দেবিদ্বারের মাঠ জুড়ে আমনের সবুজ হাসির দেখা মিলছে৷ বাম্পার ফলনের আশায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কৃষকেরা৷ কৃষি অফিস বলছে, এ বছর লক্ষ্যমাত্রার বেশি ফলন পাওয়া কথা।
ধানের জাত পরিবর্তনে কুমিল্লার দেবিদ্বারে বাড়ছে সরিষা আবাদের জমি। আমান মৌসমে স্বল্প জীবনের ধান আবাদে তিন ফসলি জমিতে বাড়তি ফসল হিসেবে সুযোগ তৈরী হয়েছে সরিষা চাষের। এতে করে তেল উৎপাদনে দেশে বাড়তি প্রভাব রাখার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
মাঠ ঘুরে দেখা যায়, স্বল্প জীবনকালীন ব্রি ধান৭১, ব্রি ধান৭৫, ব্রি ধান৮৭, ব্রি ধান৯৫, বিনাধান-১৭ জাতের কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। জেলায় গত বছরের স্বল্প জীবনকালীন জাত সমূহের তুলনায় এ বছর দ্বিগুণ ধান আবাদ হয়ে।
জলাবদ্ধতা, আকস্মিক বন্যার শঙ্কা ও আউশ ধান দেরিতে কাটাসহ নানা কারণে কুমিল্লায় রোপা আমনধান দেরিতে রোপণ ও নাবি জাতের(বেশি সময়) ধানের আবাদের প্রচলন রয়েছে। এতে দীর্ঘদিন যাবত কৃষকদের মাঝে দীর্ঘ জীবনকালের বি আর২২, বি আর২৩ ও ব্রি ধান৪৬ নাবি জাত সমূহ বেশ জনপ্রিয় ছিল। এসব দীর্ঘ জীবনকালের জাত সমূহ চাষ করার কারনে রবি মৌসুমে সরিষাসহ আগাম রবি ফসল আবাদ ব্যাহত হতো। স্বল্প জীবনকালের ধান চাষে সরিষাসহ তেল ফসল সমূহের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির কাজ করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বানিন রায় জানান, আমন মৌসমে এ বছর কুমিল্লায় ১ লাখ ১৪ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও, জেলায় চাষ হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৫৮ হেক্টর জমিতে৷ জেলায় চলতি বছরে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ হাজার ৯০৮ হেক্টর জমিতে। স্বল্প জীবনের ধান চাষের ফলে এবার কুমিল্লায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সরিষা উৎপাদনের প্রত্যাশা করছে কৃষি অফিস।