ছবি সংগৃহীত
লর্ডসের ঐতিহাসিক মাঠে রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচের শেষ মুহূর্তে জয় পেল ইংল্যান্ড। তবে ফলাফলের বাইরেও এক মুহূর্ত ছুঁয়ে গেল কোটি ক্রিকেটভক্তের হৃদয়। কারণ ম্যাচ শেষে যখন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজ আবেগে ভেঙে পড়েন, ঠিক তখনই প্রতিপক্ষ ইংলিশ ক্রিকেটারদের মানবিক আচরণ জয় করে নেয় সকলের মন।
ঘটনার শুরু সিরাজের শেষ উইকেট পতনে। ইংল্যান্ডের শোয়েব বসিরের বলটিকে ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন সিরাজ। কিন্তু ব্যাটে লেগে বল গড়িয়ে গিয়ে ভেঙে দেয় স্ট্যাম্প। সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাসে ফেটে পড়েন ইংলিশ ক্রিকেটাররা—জয়ের আনন্দে। আর সেই আনন্দের মাঝেই মাটিতে বসে পড়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সিরাজ।
কিন্তু এরপর যা ঘটেছে, তা নিছক খেলার বাইরের কিছু নয়—তা মানবতা। সিরাজের কান্না দেখে দ্রুত ছুটে আসেন হ্যারি ব্রুক, জো রুট, জ্যাক ক্রলি ও ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। মাঠেই সিরাজকে সান্ত্বনা দেন তাঁরা। একজন প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, একজন মানুষকে পাশে দাঁড়িয়ে সাহস দেন।
সিরাজ ব্যাট হাতে শেষ উইকেটে ৩০ বল মোকাবিলা করে ৪ রান করেছিলেন। এই ইনিংসই ভারতকে ১৩ ওভার ধরে টেনে এনেছিল। তবু হার এড়ানো যায়নি। কিন্তু সেই ব্যর্থতা তার লড়াইকে ম্লান করেনি। বরং এই দৃশ্যই স্মরণীয় হয়ে রইল ম্যাচ শেষে।
লর্ডস টেস্টে উত্তেজনা কম ছিল না। বল বদল নিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক, জো রুটকে ‘বাজবল’ খেলার চ্যালেঞ্জ—সিরাজ ছিলেন সরব। এমনকি চতুর্থ দিনে বেন ডাকেটকে আউট করে ধাক্কা দেওয়ায় ম্যাচ ফি’র ১৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হয় এবং ডিমেরিট পয়েন্টও জোটে তার নামে।
তবে সিরাজের আবেগঘন প্রতিক্রিয়ার পর যেভাবে প্রতিপক্ষ ক্রিকেটাররা এগিয়ে এসে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তা ক্রিকেটকে আরও একবার ‘জেন্টলম্যানস গেম’ হিসেবে স্মরণ করিয়ে দিল।
ক্রিকেটে জয়-পরাজয় আসবেই। কিন্তু খেলোয়াড়দের মনুষ্যত্ব, সহানুভূতি এবং পরস্পরের প্রতি সম্মান—এই গুণগুলোই খেলাকে তুলে ধরে অন্য উচ্চতায়। এই ম্যাচে ঠিক সেটাই করে দেখালেন জো রুট, ব্রুক এবং বেন স্টোকসরা।
শেষ অবধি লর্ডসের ২২ গজে জিতল ক্রিকেটই।
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News