ছবি সংগৃহীত
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনিংস বিরতিতে ছিল আফগানিস্তানের মুখে হাসি। কারণ ৮ উইকেটে ১৪১ রানে পাকিস্তানকে আটকে দিয়েছিল তাদের বোলাররা। বিশেষ করে স্পিনাররা ছিলেন দুর্দান্ত—৮ উইকেটের মধ্যে ৬টিই নিয়েছিলেন তারা। ম্যাচ প্রেজেন্টার যখন নুর আহমেদকে মজার ছলে জিজ্ঞেস করেন, “ব্রেকফাস্টে কী খেয়েছেন?”, নুর হেসে উত্তর দিয়েছিলেন—“ব্যাটার খেয়েছি।”
কিন্তু সেই হাসি টিকেনি দ্বিতীয় ইনিংসে। ১৪২ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তান ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নাওয়াজের ঘূর্ণির সামনে। তুলে নেন দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক ও ফাইফার। মাত্র ১৯ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট। আফগানিস্তান অলআউট হয়ে যায় মাত্র ৬৬ রানে, যা টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে তাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫৬ রানে অলআউট হয়েছিল দলটি।
প্রথম ওভারেই শাহিন আফ্রিদির বলে গুরবাজ ফিরলে শুরুতেই ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। এরপর দলীয় ২৯ রানের মাথায় বিদায় নেন সেদিকুল্লাহ। ঠিক সেই সময়েই নাওয়াজের স্পিন জাদুতে ভেঙে পড়ে আফগান ইনিংস। ষষ্ঠ ওভারে টানা তিন বলে ডারউইশ রাসুলি, আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে সাজঘরে পাঠিয়ে নেন হ্যাটট্রিক। ডারউইশ ও আজমতউল্লাহ রান করার সুযোগই পাননি।
পরে অষ্টম ওভারে ফের বল হাতে নাওয়াজ ফিরিয়ে দেন ইব্রাহিম জাদরানকে। আফগান ব্যাটিং লাইনআপ ছন্নছাড়া হয়ে যায় একেবারেই। সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন রশিদ খান, তবে দলকে লড়াইয়ে রাখতে পারেননি। নাওয়াজের সঙ্গে আবরার আহমেদ ও সুফিয়ান মুকিম নেন ২টি করে উইকেট।
এর আগে পাকিস্তানের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন ফখর জামান। নাওয়াজও দেখিয়েছেন ব্যাটিং নৈপুণ্য—করেছেন ২৫ রান। সালমান আলী আগা ২৪ রান করে সহায়তা দেন। আফগানিস্তানের হয়ে রশিদ খান ৩ উইকেট, ফজলহক ফারুকী ও নুর আহমেদ ২টি করে, আর গজনফর নেন একটি উইকেট।
১৪২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৬৬ রানে গুটিয়ে যাওয়া আফগানিস্তানের জন্য এটি এক লজ্জাজনক পরাজয়। পাকিস্তান জিতল বিশাল ব্যবধানে, ৭৫ রানে।
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News