ডেস্কঃ রিপোর্টার :

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে যদি তিনি ২০২৩ সালের মে মাসের দাঙ্গার জন্য ক্ষমা চান। এমনটাই শর্ত জুড়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের রাজনৈতিক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ।

২০২৩ সালের ৯ মে, ইমরান খানের গ্রেফতারের প্রতিবাদে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের সমর্থকরা দেশব্যাপী বিক্ষোভ করে। এই বিক্ষোভের কারণে বেশ কিছু সরকারি ভবন, সেনাবাহিনীর স্থাপনা ও রাজনৈতিক অফিস আক্রান্ত হয়। বর্তমান সরকার এই আন্দোলনকে 'দাঙ্গা' হিসেবে আখ্যা দেয়।

গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি রয়েছেন ইমরান খান। সম্প্রতি তার মুক্তির বিষয়ে শর্ত জুড়ে দিয়ে রানা সানাউল্লাহ বলেন, "যদি ইমরান খান আন্তরিকভাবে ৯ মে দাঙ্গার জন্য ক্ষমা চান এবং আদালত জামিন মঞ্জুর করে, তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি থাকবে না।"

তবে পাকিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যম ‘পাকিস্তান অবজারভার’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খান ক্ষমা চাইতে রাজি নন। বরং তিনি আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করেছেন এবং সর্বশেষ তিনজন বিচারকের বদলির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছেন। তার দাবি, বিচারকদের ওপর প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, পিটিআই লাহোরের মিনার-ই-পাকিস্তানে সমাবেশ করতে চাইলে প্রশাসন নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে অনুমতি দেয়নি। পিটিআই নেতাকর্মীদের দাবি, সরকার তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করছে। তবে সরকারি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।