ডেস্কঃ রিপোর্টার :

গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান গত মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ফোনে আলোচনা করেছেন। তাদের এই ফোনালাপ গাজায় চলমান সংঘাত এবং ইসরাইলের সামরিক আক্রমণ শুরু হওয়ার পর একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৮ মার্চ গাজায় ইসরাইলি বাহিনী পুনরায় হামলা শুরু করলে, দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে যায়। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এরই মধ্যে ট্রাম্প এবং শেখ মোহাম্মদ আল নাহিয়ান গাজার বাসিন্দাদের জন্য সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।

উল্লেখযোগ্যভাবে, ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে ট্রাম্প গাজার জন্য তার পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছিলেন, যেখানে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করা এবং গাজাকে নতুন করে গড়ে তোলার প্রস্তাব ছিল। তবে, ট্রাম্পের এই প্রস্তাব বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নিন্দার জন্ম দেয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অন্যান্য আরব রাষ্ট্রগুলো গাজার জন্য মিশরীয় বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে, গাজাকে পুনর্গঠন করতে ৫৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে এবং ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার কোনো প্রয়োজন হবে না।

এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কূটনৈতিক উপদেষ্টা আনোয়ার গারগাশ ২৬ ফেব্রুয়ারি জানিয়েছিলেন যে, ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান ছাড়া গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

গাজার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, কারণ ইসরাইলের স্থল ও বিমান অভিযান পুনরায় শুরু হওয়ার পর, এখন পর্যন্ত ৫০,০০০ এরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

এ পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ এবং আলোচনার মাধ্যমে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা এবং পুনর্গঠন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা ত্বরান্বিত হওয়ার আশা করা হচ্ছে।