ডেস্ক রিপোর্টার :

দখলদার ইসরায়েল আবারও আগ্রাসী তৎপরতা চালিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। এবার সিরিয়ার সুইদা শহর এবং লেবাননের বাক্কা উপত্যকায় একযোগে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও লেবাননের হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে এই হামলার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক মহল।

সোমবার গভীর রাতে এবং মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকালে সুইদা শহরে সিরীয় সেনাবাহিনীর অবস্থানে আক্রমণ চালায় দখলদাররা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিরিয়ার সরকারি বাহিনী সুইদা শহরে প্রবেশের সময়ই ইসরায়েলি ড্রোন ও যুদ্ধবিমান থেকে হামলা চালানো হয়। এতে একাধিক ট্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সেনাদের মধ্যে হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে।

উল্লেখ্য, সুইদা শহরটি সিরিয়ার দ্রুজ সংখ্যাগুরু এলাকা। সম্প্রতি সেখানে দ্রুজ এবং বেদুঈনদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হয়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। সংঘর্ষ ঠেকাতে সিরীয় সেনারা ট্যাংকসহ প্রবেশ করে, আর সেই মুহূর্তে ইসরায়েল হামলা চালায়।

ইসরায়েলি পক্ষ দাবি করেছে, তারা দ্রুজদের নিরাপত্তার স্বার্থে এ হামলা চালিয়েছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ইসরায়েলের নতুন দখলদার ও বিভাজনমূলক কৌশলের অংশ।

সিরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মুরহাফ আবু কাসরা মঙ্গলবার জানিয়েছেন, দ্রুজ ও বেদুঈন গোষ্ঠী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে এবং পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

অন্যদিকে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের বাক্কা উপত্যকায় হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

দখলদার দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ দাবি করেন, হিজবুল্লাহর রেদওয়ান ফোর্স পুনর্গঠিত হওয়ার চেষ্টা করছিল, তাই এই হামলা চালানো হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, হিজবুল্লাহ যদি আবার সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে আরও কঠিন হামলা আসবে।

এইসব হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল যে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা উসকে দিচ্ছে, তা আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এখন হুমকির মুখে।