ছবি সংগ্রহীত
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভারতীয়দের অভিযোগ খামোখা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য করে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও চিন্তাবিদ অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, ভারতের উচিত আগে নিজেদের দিকে তাকানো। দেশের ভেতরে বিদ্যমান কাঠামোগত বৈষম্য ও নির্যাতনের বাস্তবতা স্বীকার না করে, অন্যকে দোষারোপ করা নৈতিক নয়।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইনিশিয়েটিভ ফর দ্য প্রমোশন অব লিবারেল ডেমোক্রেসি (আইপিএলডি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রতিবন্ধকতা’ শীর্ষক এক সেমিনারে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
“ভারতের সংখ্যালঘুবিষয়ক অবস্থান আমাদের বিরুদ্ধে যেভাবে প্রজেক্ট করছে, সেটা ভুল। তারা নিজেরাই যে সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সেই ডায়াগনসিস আমাদের ওপর প্রয়োগ করছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানরা সরকারি চাকরি, পুলিশ বিভাগ বা শিক্ষায় কতটুকু প্রতিনিধিত্ব পায়?”
তিনি বলেন, সেখানে মুসলমানদের জনসংখ্যার হার ২০ থেকে ২৫ শতাংশ হলেও সরকারি ব্যবস্থায় মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব ২-৫ শতাংশের বেশি নয়। এটি একটি স্পষ্ট কাঠামোগত সহিংসতা (Structural Violence)। ফলে ভারতের উচিৎ নিজের ভেতরের বৈষম্য দূর করার দিকে নজর দেওয়া।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শেষ সময়কার নগর উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়েও সমালোচনা করেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় মেট্রোরেল কর্মীদের জন্য নির্মাণাধীন বহুতল ভবন প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
“প্রকল্পে স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল সেখানে ভবন হবে না। অথচ লেকের ভিউ নষ্ট করে চারতলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে করে পরিবেশ ও বাতাস চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।”
তিনি উদাহরণ দেন অধ্যাপক তারেক শামসুর রহমান ও অধ্যাপক শোয়াইব জিবরার করা একটি হাইকোর্ট মামলার। রাজউকের এই নির্মাণ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে মামলা করলে, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তাদের হুমকি দেওয়া হয় বলেও দাবি করেন তিনি।
“এই দুই অধ্যাপক রাজউকের প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। পরে তাদের হুমকি দিয়ে বলা হয়—মামলা তুলে না নিলে ফ্ল্যাট থেকে বের করে দেওয়া হবে। এটি ফ্যাসিজমের একটি দৃষ্টান্ত।”
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খানের বক্তব্যে উঠে আসে, ভারতের মতো একটি দেশ যখন মানবাধিকার বা সংখ্যালঘু অধিকার নিয়ে কথা বলে, তখন সেটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে হয় যদি নিজেদের দেশে একই ইস্যুতে ন্যূনতম ন্যায়বিচার না থাকে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন রাজনীতি বিশ্লেষক, শিক্ষাবিদ ও গণতন্ত্রকামী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। উপস্থিত বক্তারা বলেন, টেকসই গণতন্ত্র কেবল নির্বাচনের মাধ্যমে নয়, বরং ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার মাধ্যমেই সম্ভব।
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News