ডেস্ক রিপোর্টার :

মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে সেনা মোতায়েন রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণে এখন সেনা সংখ্যা হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স, মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে।

বর্তমানে সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের আনুমানিক ২ হাজার সেনা রয়েছে, যাদের মূলত মোতায়েন করা হয়েছিল ২০১৪ সালে আইএসের উত্থানের সময়। সেই সময় সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) সিরিয়ার একটি বিশাল অঞ্চল দখল করে ঘোষণা করেছিল তথাকথিত খিলাফতের। এই চরমপন্থী গোষ্ঠীর দমনেই নিয়োজিত ছিল মার্কিন সেনারা।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে আইএস সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। সিরিয়া, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বিত অভিযানে তারা অধিকাংশ এলাকা হারিয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সিরিয়ায় সেনা সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে, অর্থাৎ প্রায় ১ হাজারে সীমাবদ্ধ রাখা হবে। একইসঙ্গে, দেশটির সামরিক ঘাঁটির সংখ্যাও হ্রাস করা হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর।

সিরিয়ায় আগে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম উদ্বেগ ছিল প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ, যিনি ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ইরানের মাধ্যমে লেবানন ও গাজায় অস্ত্র সরবরাহের জন্য সিরিয়ার ভূখণ্ড ব্যবহার করত তেহরান।

তবে পরিস্থিতি বর্তমানে ভিন্ন। গত বছরের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সরকারবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শামস (HTS)–এর এক অভিযানে আসাদ সরকারের পতন ঘটে। বাশার আল আসাদ পরিবারসহ পালিয়ে যান রাশিয়ায়। বর্তমানে নতুন প্রেসিডেন্ট আহমদ আল শরা ক্ষমতায়।

ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শরা সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের তেমন কোনো শত্রুতা বা উদ্বেগ নেই। ফলে দেশটিতে সেনা কমানোর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হচ্ছে।