ছবি সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সরব। দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই তাঁর নজর মধ্যপ্রাচ্যের দিকে। সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন গড়ে তুলতে চায় কৌশলগত, কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক এক ত্রিমাত্রিক জোট—যার মূল লক্ষ্য ইরানবিরোধী অবস্থানকে শক্তিশালী করা এবং একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্বার্থকে নিরাপদ রাখা।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সফর নিছক আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নির্দেশনার অংশ। রিয়াদ, দোহা এবং আবুধাবিকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি শক্তির বলয় তৈরি করতে চায়, যা শুধু মধ্যপ্রাচ্যে নয়, বিশ্ব রাজনীতিতে ওয়াশিংটনের নেতৃত্ব ধরে রাখার জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মহল এবং পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষকেরা বলছেন, বর্তমান ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে উপসাগরীয় এই তিন রাষ্ট্র শুধু জ্বালানির উৎস নয়, বরং প্রযুক্তি, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা ও মানবিক কূটনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠছে।
সফর সামনে রেখে যেসব ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তার ভিত্তিতে বলা যায়—ইরানকে ঘিরে পারস্য উপসাগরে একটি নতুন সামরিক ও কৌশলগত বলয় গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের। এই বলয়ে যুক্ত হতে পারে ইসরাইলও। ফলে ভবিষ্যতে ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’-এর দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
অর্থনৈতিক দিক থেকেও সফরটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ওয়াশিংটনের লক্ষ্য—যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি কোম্পানির উপস্থিতি বৃদ্ধি, নতুন বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে বিনিয়োগ প্রবাহে গতি আনা, এবং জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা খাতে যৌথ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের দৃষ্টিতে পররাষ্ট্রনীতি একটি লাভজনক চুক্তির মতো—যেখানে ক্ষমতা, প্রভাব ও বিনিয়োগই মুখ্য। তাই পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো এখন কেবল মার্কিন মিত্র নয়, বরং অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষক হিসেবেও বিবেচিত।
রাজনৈতিকভাবে এই সফর দ্বিমুখী বার্তা দিচ্ছে। বিশ্বকে ট্রাম্প দেখাতে চাইছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনো বৈশ্বিক নেতৃত্বের কেন্দ্রবিন্দুতে। আর দেশের ভেতরে নিজের অবস্থান শক্ত করতে চাচ্ছেন এমন এক নেতার চিত্র তুলে ধরে, যিনি জানেন কূটনীতি ও অর্থনীতিকে একসঙ্গে কীভাবে পরিচালনা করতে হয়।
তবে, এই সফর ও কৌশল ঘিরে অনেক প্রশ্নও উঠছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি, গাজায় চলমান সংঘাত, এবং ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মাঝে ট্রাম্পের এই তৎপরতা—নতুন শান্তির সম্ভাবনা তৈরি করবে, না কি উসকে দেবে আরেকটি সংঘর্ষ, তা সময়ই বলে দেবে।
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News