ছবি সংগৃহীত
কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় সারাদেশে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে এই হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৬ জন, যার মধ্যে দু’জন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এই ঘটনার পরপরই সৌদি সফর সংক্ষিপ্ত করে বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে দিল্লি বিমানবন্দরে নামেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সফরসূচি অনুযায়ী, তার দেশে ফেরার কথা ছিল বুধবার রাতেই। কিন্তু কাশ্মীর হামলার খবর পাওয়ার পরেই তিনি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেন দেশে ফেরার।
দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পরপরই মোদি জরুরি বৈঠকে বসেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা। কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে হয় বিস্তারিত আলোচনা।
মঙ্গলবার রাতেই প্রধানমন্ত্রী ফোনে যোগাযোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে। শাহকে কাশ্মীর যাওয়ার নির্দেশ দেন মোদি। নির্দেশ পাওয়ার পরই রাতেই শ্রীনগরে পৌঁছান অমিত শাহ। তিনি সেনা, আধাসেনা, পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন এবং হামলার তদন্ত ও প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।
সৌদিতে অবস্থানকালেই প্রধানমন্ত্রী এক্সে (সাবেক টুইটার) লেখেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন, তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, যারা এই হামলার পেছনে রয়েছে, তাদের ক্ষমা করা হবে না। সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের অবস্থান আরও কঠোর হবে।
উল্লেখ্য, এই হামলাকে ২০১৯ সালের পুলওয়ামা ঘটনার পর কাশ্মীরের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News