ছবি সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের একপর্যায়ে তাদের ‘ডু অর ডাই’ অর্থাৎ বাঁচতে হবে বা মরে যেতে হবে এমন কঠিন পরিস্থিতিতে চলে যেতে হয়। বেঁচে থাকলে তারা সরকারকে উৎখাত করবে, আর না থাকলে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত হবে।
গত বছরের ৫ জুন কোর্টের কোটা পুনর্বহালের রায়ের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়। ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের আন্দোলন চললেও, ২০২৪ সালে একতরফা নির্বাচনের পর কোর্টের মাধ্যমে কোটা পুনর্বহাল হলে নতুন সংকট শুরু হয়। অর্থনৈতিক সংকটের মাঝে শিক্ষার্থীরা হতাশ ও আতঙ্কিত হয়, যা প্রজ্বলিত করে বৃহৎ আন্দোলনের আগুন।
নাহিদ ইসলাম জানান, আন্দোলনের প্রথম দিকে সেন্ট্রাল লাইব্রেরি থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয় এবং দেশজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। সরকার নিরব ছিল, ফলে তারা কর্মসূচি বাড়িয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বৃহৎ আন্দোলন পরিচালনা করে।
তবে আন্দোলনে স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু ১৫ জুলাই নারীদের উপর ছাত্রলীগের হিংস্র হামলা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর জোরপূর্বক নির্যাতন তাদের জন্য চরম ধাক্কা ছিল। এরপর এই বীভৎসতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া এবং সারা দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
নাহিদ বলেন, “শেখ হাসিনার কটু মন্তব্য আন্দোলনের আগুনে তেল ঢেলে। এটি ছিল আন্দোলনকারীদের আত্মমর্যাদায় আঘাত।” এরপর আন্দোলন আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে, সাধারণ মানুষও এতে যোগ দেয় এবং সরকারের কঠোর পদক্ষেপ সত্ত্বেও আন্দোলন থামানো সম্ভব হয় না।
অবশেষে ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করে আন্দোলন দমন শুরু করে। এই সময়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশের নির্যাতন, গ্রেপ্তার ও ভয়ভীতির মধ্যে পড়ে। ডিবি হেফাজতে থেকে তারা মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হলেও তাদের মনোবল ভাঙেনি।
নাহিদ ইসলাম জানান, আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে তারা অস্ত্রও তোলার কথা ভেবেছিল এবং সরকারের পতনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল। তবে ১৬ আগস্ট সেনাবাহিনীর জনসমর্থন এবং জনগণের ঐক্য এই দীর্ঘ লড়াইয়ের সফলতা এনে দেয়। ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটে এবং মুক্তির বিজয় মিছিল উত্তাল করে পুরো দেশ।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা বাঁচতে চাই, অন্যথায় মরতে হবে। এই দৃঢ় সংকল্প নিয়ে আমরা আন্দোলনের পথচলা শুরু করেছিলাম।”
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News