ছবি সংগ্রহীত
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার নবাব শেখের তৈরি চলমান-খাট, যা সামাজিক মাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়, এখন আইনি সমস্যায় পড়ে গেছে। এই খাটটি আসলে এক ধরনের চলমান বিছানা, যা এক ব্যক্তি তোষক, চাদর, বালিশসহ বিছানার উপর বসে চলাচল করতে পারে। ঈদের দিন ট্রায়াল দিতে বের হওয়ার পর, নবাব শেখের ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক জনসমাগম তৈরি হয়। তবে, এই অভিনব গাড়ি এখন মুর্শিদাবাদের ডোমকল থানায় রয়েছে।
নবাব শেখ, যিনি পেশায় একজন গাড়িচালক, প্রায় দেড় বছর ধরে এই চলমান-খাট তৈরি করতে কাজ করেছেন। ৮০০ সিসির ইঞ্জিন এবং মারুতি 'ওমনি' গাড়ির চেসিস ব্যবহার করে তিনি এটি তৈরি করেছেন। তাঁর এক ভাই আলমগীর শেখও এই প্রকল্পে সহায়তা করেছেন। গাড়িটি তৈরি করতে নবাব শেখ প্রায় দুই লাখ ১৫ হাজার রুপি খরচ করেছেন, এবং এর জন্য স্ত্রীর কিছু গয়না বিক্রি করতে হয়েছে।
তবে, সমস্যা শুরু হয় যখন নবাব তার ফেসবুক পেজে এই গাড়িটির ভিডিও আপলোড করেন। ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায় এবং মাত্র কয়েক ঘণ্টায় প্রায় আড়াই কোটি ভিউ পায়। কিন্তু এরপর একটি বাংলাদেশী টেলিভিশন চ্যানেল ভিডিওটি তাদের নামে আপলোড করে এবং দাবি করে এটি তাদের তৈরি। ফলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ নবাব শেখের পেজটি বন্ধ করে দেয়। নবাব শেখ অভিযোগ করেছেন, তার কপিরাইটও লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং তার পেজ বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশী চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ফেসবুকের কাছে রিপোর্ট করেছে।
তবে সবচেয়ে বড় বিপত্তি আসে আইনি কারণে। পুলিশ জানায়, চলমান খাটের জন্য কোনো অনুমতি ছিল না। ফলস্বরূপ, পুলিশ সেটি থানায় নিয়ে গেছে এবং নবাব শেখের হাতে যে গাড়ি ছিল তা এখন বেআইনি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। খাটটি নিয়ে রাস্তায় ভিড় জমে যাওয়ায় পুলিশ প্রথমে গাড়িটি রাস্তায় না চালানোর নির্দেশ দেয়, এরপর সেটি গুদামে রাখা হয়।
নবাব শেখ এই ঘটনার পর হতাশ। তিনি বলছেন, "আমি একদিন স্বপ্ন দেখেছিলাম যে খাটে চেপে চা খেতে যেতে পারব, সেই ভাবনা থেকেই শুরু হয়েছিল এই প্রকল্প। কিন্তু এখন ফেসবুক আইডি বন্ধ, আর গাড়িটিও থানায়।" তাঁর এই দীর্ঘসময় ধরে সংগ্রহ করা শখের গাড়ি এখন পুলিশি হেফাজতে।
এই ঘটনা একটি অদ্ভুত উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে সৃজনশীলতার চেষ্টার মাঝে আইনি জটিলতা এসে দাঁড়িয়েছে। নবাব শেখের জন্য এটি এক ভয়ানক দুঃস্বপ্নের মতো, যেখানে তার কাজের পুরস্কার হিসেবে আইনি জটিলতা আর রাস্তায় ভিড়ের সৃষ্টি হয়েছে। এটি ছিল নবাব শেখের চলমান-খাটের গল্প, যা এখন আইনি সমস্যায় পড়েছে।
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News