ছবি সংগৃহীত
শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু অনেক সময় যেসব খাবার আমরা স্বাস্থ্যকর বলে ধরে নিই, সেগুলোর মধ্যেই লুকিয়ে থাকে বিপদের ছায়া।
রঙিন মোড়ক, চটকদার বিজ্ঞাপন আর পরিচিত ব্র্যান্ডের আড়ালে কিছু খাবার নীরবে শিশুর শরীর ও ভবিষ্যতের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুর খাদ্যাভ্যাস গঠনের সময় যেসব খাবার থেকে সাবধান থাকা দরকার, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত ৫টি খাবার হলো:
১. ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল ও চিনিযুক্ত পানীয়
বহু বাবা-মা মনে করেন সিরিয়াল একটি স্বাস্থ্যকর নাস্তা। কিন্তু বাস্তবে বাজারে পাওয়া অনেক সিরিয়ালেই চিনি ও কৃত্রিম রঙের পরিমাণ অত্যধিক।
এই চিনি শিশুর ওজন বৃদ্ধি, এনার্জি ড্রপ এবং অন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে।
তেমনই চিনিযুক্ত কোল্ড ড্রিংক বা ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়—পুষ্টিগুণশূন্য খালি ক্যালোরির উৎস মাত্র। এগুলো শিশুদের দাঁতের ক্ষয় এবং ডায়াবেটিস ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
২. স্বাদযুক্ত দই
স্বাদযুক্ত দইকে প্রোটিনসমৃদ্ধ বলে অনেকেই শিশুর খাবারে অন্তর্ভুক্ত করেন।
কিন্তু এই দইয়ে থাকা অতিরিক্ত চিনি ও কৃত্রিম রঙ শিশুর স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বিশেষ করে দাঁতের ক্ষয়, স্থূলতা এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। বিকল্প হিসেবে টক দইয়ে সামান্য মধু বা ফল মিশিয়ে খাওয়ানো বেশি উপকারী।
৩. মাইক্রোওয়েভ পপকর্ন
ঘরে বসে সিনেমা দেখার সঙ্গে পপকর্ন যেন অনিবার্য। কিন্তু দোকান থেকে কেনা মাইক্রোওয়েভ পপকর্ন শিশুদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
প্যাকেটের আস্তরণে থাকা PFAS নামক ‘ফরেভার কেমিক্যাল’ শিশুর বিকাশ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাড়িতে চুলায় পপকর্ন বানানোই নিরাপদ।
৪. প্রক্রিয়াজাত মাংস
হট ডগ, সসেজ, সালামি কিংবা ডেলি মিট—বাচ্চাদের প্রিয় খাবারের তালিকায় থাকলেও এগুলো WHO কর্তৃক গ্রুপ-১ কার্সিনোজেন হিসেবে বিবেচিত।
সোডিয়াম, নাইট্রেট, প্রিজারভেটিভস—সব মিলে এগুলো শিশুর রক্তচাপ এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলে। নিয়মিত গ্রহণ কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৫. ডিপ ফ্রাই খাবার
ফ্রাই, নাগেট, রেডি-টু-কুক খাবার শিশুদের প্রিয় হলেও এতে ট্রান্স ফ্যাট ও অতিরিক্ত ক্যালোরি থাকে।
এগুলো হৃদরোগ, স্থূলতা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়—এমনকি শিশুর ক্ষেত্রেও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাজা খাবারের পরিবর্তে বেকিং বা এয়ার-ফ্রাই করা স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে।
শিশুদের পছন্দের খাবার মানেই সবসময় স্বাস্থ্যকর নয়। সচেতনতার অভাবে আমরা অনেক সময় না জেনে ক্ষতি ডেকে আনি।
পুষ্টিবিদরা মনে করেন, "নিয়মিত খাবারের চেয়ে নিয়মিত সচেতনতা বেশি জরুরি।"
তাই প্যাকেটের পেছনে লেখা উপাদান পড়ুন, চটকদার বিজ্ঞাপনের পেছনে না ছুটে ভাবুন—আপনার শিশুর ভবিষ্যৎ কোন পথে যাচ্ছে?
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News