ছবি সংগৃহীত
ক যুগ পেরিয়ে গেলেও থেমে নেই রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া জীবনের দীর্ঘশ্বাস। আজ সেই ভয়াবহ ট্র্যাজেডির ১২ বছর। ২০১৩ সালের এই দিনে সাভারের রানা প্লাজা ধসে নিহত হন অন্তত ১ হাজার ১০০ জন, আহত হন আড়াই হাজারের বেশি। সময় গড়ালেও থামেনি আহতদের যন্ত্রণা, বদলায়নি তাদের ভাগ্য।
শিলা—রানা প্লাজার ৬ তলায় কাজ করতেন। দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ড চিরতরে ক্ষতিগ্রস্ত। কাজের সামর্থ্য হারিয়ে মানুষের দয়ায় বেঁচে থাকা তার একমাত্র উপায়। সন্তানকে রাখতে হয়েছে বোনের জিম্মায়। একই গল্প নিলুফা বেগমের, বেঁচে ফিরলেও জীবন এখন পঙ্গুত্বের ভারে ভারাক্রান্ত।
আইনি সুরক্ষা ও পুনর্বাসনের অভাব:
দুর্ঘটনার এক যুগ পেরিয়ে গেলেও আহতদের স্থায়ী পুনর্বাসনে নেই কার্যকর কোনো সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগ—এই অভিযোগ শ্রমিক নেতাদের।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন স্বপন বলেন, “আন্তর্জাতিক শ্রম আইন অনুযায়ী, আহত শ্রমিককে যতদিন কাজ করতে পারতেন, ততদিনের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।”
বিচার ঝুলে আছে:
রানা প্লাজা ধসের জন্য দায়ীদের এখনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি—এমন অভিযোগ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপতি তাসলিমা আখতারের। তিনি বলেন, “নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত হলেও বিচার না হলে বারবারই ঘটবে এমন দুর্ঘটনা।”
উন্নত হয়েছে অবকাঠামো, কিন্তু নেই ন্যায্যতা:
বাংলাদেশে এখন বিশ্বের সর্বাধিক ২৪০টি সবুজ পোশাক কারখানা, যার মধ্যে সেরা ১০০টির ৬৬টিই এদেশে। তবুও মার্কিন জিএসপি সুবিধা এখনও বহাল হয়নি। বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, “এটি শুধু পোশাক নয়, রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের কৌশল।”
সব খাতে নিরাপত্তার দাবি:
শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, “শুধু পোশাক নয়, সব খাতেই কর্মপরিবেশ নিরাপদ করতে হবে। দেশে ৮ কোটি শ্রমজীবীর মধ্যে ৭ কোটিরই নেই আইনি সুরক্ষা। এটা খুবই উদ্বেগজনক।”
রানা প্লাজার ধস বদলে দিয়েছে দেশের পোশাক খাতের চিত্র। কিন্তু আহত শ্রমিকদের জন্য এখনও অসমাপ্ত থেকে গেছে পুনর্বাসনের লড়াই। এক যুগ পরও সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—কে নেবে তাদের দায়?
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News