ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশ থেকে গত ১৫ বছরে প্রায় ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার পাচার হয়েছে—এমন ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রিপোর্টে। তবে এতদিন এ অর্থ কীভাবে পাচার হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি। এবার সেই 'পদ্ধতি' নিয়ে মুখ খুলেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।
তাদের সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে—পাচার হওয়া অর্থের সিংহভাগই হয়েছে ব্যাংকিং চ্যানেলের মধ্য দিয়ে, আমদানির নামে মিথ্যা ঘোষণার ফাঁদে। বিশেষ করে পোশাক, ভোগ্যপণ্য ও জ্বালানি খাতে এই অপকর্ম বেশি হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই চিত্র নতুন নয়। বরং বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষণ ও তদারকির ঘাটতির কারণেই এমন চিত্র দৃষ্টিগোচর হয়নি এতদিন।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সহ-সভাপতি সালেউথ জামান খান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
"বাংলাদেশ ব্যাংক যদি অতীতে তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করত, তাহলে এই বিপুল অর্থ পাচার সম্ভব হতো না। সুতা ও গার্মেন্টসসহ অন্যান্য খাতের লেনদেনে কঠোর নজরদারি দরকার।"
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক এই দায় কিছুটা মেনে নিয়েই বলছে, অসৎ ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত ধূর্ত।
ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার বলেন,
"মানিলন্ডারিং কেবল গাইডলাইন দিয়ে ঠেকানো সম্ভব নয়, এর জন্য প্রয়োজন কৌশলী ব্যবস্থা।"
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মানিলন্ডারিং রোধে এখনই কঠোর পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে এর ফলাফল হবে ভয়াবহ।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন,
“অবৈধভাবে যেন একটি ডলারও দেশ থেকে বের না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অতীতে ব্যর্থ হয়েছে, এটা স্বীকার করে এখন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করে দ্রুত অ্যাকশন না নিলে পাচার বন্ধ হবে না।”
তারা আরও মনে করেন, শুধু গাইডলাইন বা নীতিমালা যথেষ্ট নয়। যারা জড়িত—তাদের পরিচয় যতোই প্রভাবশালী হোক না কেন, দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নিলে মানিলন্ডারিং সংস্কৃতি গুটিয়ে আনা যাবে না।
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News