ছবি সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ইরান-ইসরাইল যুদ্ধের উত্তাপে হরমুজ প্রণালী বন্ধ হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ আগামী ৪৫ দিন পর্যন্ত কোনো জ্বালানি তেল সংকটে পড়বে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।
বর্তমানে দেশের জ্বালানি তেলের মজুত যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। বিপিসি’র হিসাব অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৩২ দিনের জন্য ৩ লাখ ৭২ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল, ১২ দিনের ১২ হাজার মেট্রিক টন অকটেন, ১৩ দিনের ১৬ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন পেট্রোল, ৩১ দিনের ৫১ হাজার মেট্রিক টন জেট ফুয়েল এবং ২৯ দিনের জন্য ৫১ হাজার মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল মজুত রয়েছে।
তবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে তেলের দাম বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে বিপিসি। জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধি, সরবরাহ চেইনে ব্যাঘাত এবং বৈশ্বিক বাজারে অস্থিরতার কারণে এই সমস্যা আরও প্রকট হতে পারে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন যে ইরান ও ইসরাইল পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। যদিও ইরান এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, ইসরাইল যদি হামলা বন্ধ করে, তবেই ইরানও হামলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এই দ্বন্দ্বের কেন্দ্রে থাকা হরমুজ প্রণালী দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ তেল ও গ্যাস পরিবহন হয়। এটি বন্ধ হয়ে গেলে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর ওপর তা বড় প্রভাব ফেলবে। তবে বাংলাদেশ এরইমধ্যে বিকল্প পথ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজিয়ারা বন্দর ব্যবহার করার প্রস্তুতি রেখেছে।
বিপিসি চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান জানিয়েছেন, “সৌদি আরব থেকে আনা ক্রুড অয়েলের একটি অংশ মাঝেমধ্যে ফুজিয়ারা বন্দর থেকেও লোড হয়। তাই হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলেও আমরা ওই রুট ব্যবহার করতে পারব।”
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম নৌবাণিজ্য অধিদফতরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন এসএম জালাল ইউ গাজী পরামর্শ দিয়েছেন, “এখনই কাতারের গ্যাসের বিকল্প উৎস খোঁজার কাজ শুরু করা উচিত।”
বাংলাদেশের অকটেন-পেট্রোল-জেট ফুয়েল ইত্যাদি পরিশোধিত জ্বালানি তেল বেশিরভাগই আসে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর থেকে। এসব রুট হরমুজ প্রণালীর ওপর নির্ভরশীল নয়, যা স্বস্তির দিক।
চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে, আগামী এক মাসে আরও ৯টি তেলবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে বলে জানিয়েছে বিপিসি। এসব জাহাজে থাকবে ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল, ২৭ হাজার মেট্রিক টন অকটেন, ২৫ হাজার মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল এবং ১০ হাজার মেট্রিক টন জেট ফুয়েল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে বছরে ১৫ লাখ মেট্রিক টন ক্রুড অয়েল এবং ৪৫ লাখ মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বর্তমান মজুত পরিস্থিতি সন্তোষজনক হলেও ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা এড়াতে বিকল্প রুট ও উৎসের প্রতি মনোযোগ বাড়াতে হবে।
মেঘনা পেট্রোলিয়ামের সাবেক জিএম আকতার কামাল বলেন, “বর্তমানে ৪৫ দিনের মজুতের সক্ষমতা রয়েছে। তবে আমাদের জ্বালানি ব্যবহারে আরও মিতব্যয়ী হতে হবে এবং মজুত সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে।”
পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, মদিনা মেডিকেল, ০৯ তালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
হুমায়ুন কবির সাগর
পরিচালক
মাহবুব আলম সৈকত
নিউজ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: searchbdnews@gmail.com
বিজ্ঞাপণ
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৭৫২১১১১৭
Email: ads@searchbdnews.com
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || Serach BD News